মাইশোরের ডায়েরি


             (১)
যন্ত্রের যন্ত্রনা ঝরে পড়ে ঘুণধরা স্পন্দনে,
পড়ে থাকে প্লাস্টিকে মোড়া সাজানো অনুভূতি ।
চোখের সামনে হারিয়ে ফেলছি নিজেকে নিজে,
আমার কিছুই করার নেই শূণ্যে তাকিয়ে থাকা ছাড়া ।
রাগ-অভিমান-ক্ষোভ আর অভিধানে নেই ।
নির্বিবাদে মেনে নিয়েছি এই অকাল নির্বাসন ।
আমার ক্ষুদ্র  পৃথিবীতে দিন-রাত, পূর্ব-পশ্চিম,
নারী-পুরুষকে আর আলাদা করা যায়না ।
আমি যন্ত্র, আমার আশেপাশে সবাই যন্ত্র ---
মাঝে মাঝে শুধু ধোঁয়া ছাড়ার সময়টুকু পাই
যতদিন না নিজেই ধোঁয়া হয়ে যাই ।

                                    (2)
তোমার জলে ভেজা ঠোঁটে আঙুল ছোঁয়াতে,
চোখে চোখ রেখে দুচোখ মেলাতে,
বালিশের তুলো আর নখের খেলাতে,
নিজেকে ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে যাই ।

ভাবছ এসব আবার হয়েছিল কবে,
নিজের আঙুলে নিজে হিসেব মেলাবে ।
ক্ষণিকের খেয়ালে যেটুকু প্রলাপ ছিল
সবই তোমায় না পাওয়া আর নিজের স্বভাবে ।

                                    (৩)
আমার জমানো হাজারো শব্দের ঝুড়ি  থেকে
ছোট্ট একটা কথা ---
এতই দীর্ঘ তার ধবনি-প্রতিধবনি
বলব কিনা ভাবতে ভাবতে বলার অবকাশটুকু
সময় চুরির খেলায় হারিয়ে গেল ।
তোমায় কাছে পেলামই বা কবে
যে হারাবার দুঃখ থেকে যাবে ?
দুঃখ একটাই ---
আমার হৃদয় থেকে গলার চক্রব্যূহে
ঘুরতে থাকা সেই ছোট্ট কথাটা
আজও অস্ফুটে বলে চলে – তোমায় ভালোবাসি,
তুমি কি তার কোনো খবর রাখো !!!

                                    (৪)
খুঁজে বেড়াই বিভুঁয়ে এসে পায়ের তলার মাটি,
দুচোখ শূণ্যে হারিয়ে যায় একলাটি পথ হাঁটি ।
বাঁচার জন্য দূরে আসা তবু বাঁচতে লাগে ভয়,
জীবনের এ লুকোচুরি কেন আমার সাথেই হয় !
পালাতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠি দুহাতে মুখ ঢাকি,
নিজেই বুঝতে পারিনা আমি দিচ্ছি কাকে ফাঁকি ।
নিজের সাথে নিজের যুদ্ধে নিজেই যাচ্ছি হেরে,
নিজের ছায়াও নিজের থেকে নিচ্ছে মুখ ফিরে ।
তবু বাঁচতে ইচ্ছে করে যেভাবে সবাই বেঁচে আছে,
জীবনের যত অভিনয় ধরা পড়ে আয়নার কাঁচে ;
তাকে আর দেখছে কে, আমার মুখোমুখি শুধু আমি ---
সাক্ষী আমার প্রতিবিম্ব আর নীরব অন্তর্যামী ।

                                    (৫)
তার ফুলের ভ্রমর আমি পারিনি হতে,
সে ছড়ায়নি কাগজের ফুল ।
তার হঠাৎ ভালোলাগা গন্ধতে আমি নেই,
স্বপ্নমাখা সেও এক ভুল ।

তাই গড়াইনি প্রসঙ্গ ছড়াইনি বেশী,
জাতেই মাতাল তার দেশী না বিদেশী !
বৃষ্টির জলে ভেজা মেনকা-ঊর্বশী ---
চিরন্তন শাশ্বত, বাকি সব চুল ।

                                    (৬)
প্রথম প্রেমটা শুধু আবেশ মনে হয়,
নির্বাক চোখে চোখে কথা ।
তারপর যেগুলো আসে অভিজ্ঞতায় মেপে
করে নেওয়া একটা সমঝোতা ।

এরপরেও নেড়া বেলতলা খোঁজে,
প্রেমে পড়াটাও নাকি স্কিল ---
আমিও আবার শালা পড়েছি আবেশে
যার ভাষা বোঝাই মুস্কিল ।

                                    (৭)
কখনো আমি মনকে বোঝাই,
কখনো মন আমায় বোঝায়,
তাও আমি বুঝিনা ছাই মনের চাহিদা ।
তুমি থাক তোমার মত,
আমার মনে আমার ক্ষত,
কষ্ট আরও বাড়ায় ছন্দমেলানো কবিতা ।

তাই ফিরে আসি নিজের ভাষায় নিজের রাজত্বে,
মনের জ্বালা পদ্যে নয় গদ্যে শোনায় ভালো ।
তার থেকেও ভালো হত যদি মুখের ভাষাগুলো
বিপ্‌ বিপ্‌ করে চেপে না দিয়ে ছেপে
দেওয়া যেত । মিটত জ্বালা , নামত বোঝা
আর বলতাম গদ্যে কবিতা লেখা ঠিক এতটাই সোজা ।

                                    (৮)
আজ আমি আবিষ্কার করলাম
আমার মধ্যে কোনো আমি নেই,
কোনো চাহিদা নেই,
আমার জগতে আমি একা
তাও কোনো আফশোস নেই ।
সব যেন সয়ে গেছে !
কিভাবে আস্তে আস্তে করে সবকিছু
থেকে দূরে সরে যাচ্ছি,
কিভাবে যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলছি
আশেপাশের থেকে ।
নিজেই আজ নিজেকে চিনতে পারছিনা,
চেয়েও কিছু করতে পারছিনা,
বেঁচে আছি – এটুকুই জানি,
কেন আছি – কোনো উত্তর নেই ।
যেভাবে আছি সেভাবে বেশীদিন চললে
আমি আছি কি নেই
সেটা জানার জন্যও কেউ থাকবেনা ।
আজ আমি নিজের কাছেই নিজে মৃত ।
জীবনের ওঠাপড়া, টানাপোড়েন
বেঁচে থাকার তাগিদ, আবেগ, অনুভূতি
সব কেমন অজানা শব্দ মনে হয় ।
এই মুহূর্তে যেন আমার চোখের সামনে
একটা বিস্ফোরন দরকার ---
মানে এমন কিছু যা হঠাৎ করে
আমায় নাড়িয়ে দেবে,
আবার নতুন কিছু করার তাগিদ পাব ।
এভাবে মরে বেঁচে থাকতে আর ভালো লাগছেনা ।

                                    (৯)
ঘুমিয়ে পড়লেই স্বপ্ন দেখা,
তুমি আমি অথবা একা,
সব কেমন বোকা বোকা মনে হয় ।
উড়িয়ে আমার স্বপ্নঘুড়ি,
মেঘের কোলে লুকোচুরি,
রামধনু রঙে হারিয়ে যাওয়ার ভয় ।

কখনো তুমি নিরুদ্দেশে,
কখনো বা ঘুমের দেশে,
অসম্ভবে কখন কবে দেখা হবেনা ।
আবার যদি হয় তো দেখা,
পাবনা তোমায় একা,
আমার তুমি, তোমার আমি আর তো হবেনা ।

আজও বসে তোমায় ভাবি,
আমার মনে তোমার ছবি,
ভাসিয়ে দেব কাগজের নৌকোয় ।
অল্প জলেই ঘুরতে পারে,
আমার নৌকো বৃত্তাকারে,
পরাণ ভমরা গুমরে মরে কৌটোয় ।

কখনো আমি মনকে বোঝাই,
কখনো মন আমায় বোঝায়,
তোমার সাথে আমার দেখা হয়তো হবেনা ।
 তুমি থাক তোমার মনে,
আমার ভাষা যায়না কানে,
চোখ বুজে আমার কথা মনে রবেনা ।

দিনের শেষে অন্ধকারে,
আমার জায়গা আস্তাকুঁড়ে,
রাস্তাধারে ফুটপাতে জমা জল ।
আজকে বৃষ্টি নামছে আবার,
চেষ্টা নেই আর পথ পালাবার,
হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে অস্তাচল ।

                                    (১০)
সারাদিন কাজের চাপে ছোট্ট অবকাশে,
দিনের শেষে চোখের পাতা একটু বুজে আসে ।
রাতের পরী স্বপ্নচোখে হাত বুলিয়ে যায়,
তুমি তখন গান গেয়ে যাও আমার আশেপাশে ।

শান্তি খুঁজে পেতাম তোমার কোলে মাথা রেখে,
কাটিয়েছি রাত শুধু তোমার চোখে চোখে ।
হারিয়ে যেত চাঁদ চেনা রাতের আকাশে,
তোমাকে গভীর রাতে আমার সাথে দেখে ।

                                    (১১)
তার কি প্রয়োজন ছিল গিয়ে ফিরে আসা,
ছড়ানো-ছিটানো কিছু টুকরো ভালোবাসা,
কুড়োতে গিয়ে ভাবি একমুঠো হীরে,
হাতে নিয়ে দেখি বারুদে আছে ঠাসা ।

অভিমান জমে জমে গুমোট হয়ে আসে,
বৃষ্টি নামেনা তবু নিথর আকাশে,
বন্ধ জানালার কাঁচে ঘষা খায় প্রেম,
ঘুলঘুলি দিয়ে ঊষ্ণ হাওয়া বয়ে আসে ।

তার কি পাওয়ার ছিল নিজেকে হারিয়ে,
চেনা ঘাসের থেকে দুইপা সরিয়ে,
পাহাড়ে পাথর ঠুকে রক্ত আসেনা,
তবু হৃদয়কে বৃথা কেন যাচ্ছে নাড়িয়ে ।

সেই শুধু জানে তার মননে-শরীরে,
কি আবেগ বয়ে চলে মনের গভীরে,
দূর থেকে আমি শুধু ভেবে যেতে পারি,
এই শেষ চেষ্টা নাকি আসবে ফিরে ফিরে ।

                                    (১২)
জীবনটা একটা না-পড়া বই ---
যে পাতাই ওল্টাই সেটা নতুন
কোনো মানে বয়ে আনে ।
ছোটবেলার রূপকথা আর ছড়ার বই
আসলে মনভোলানো কারসাজি ।
বড় হওয়ার প্রতিটা ধাপ বুঝিয়ে দেয়
জীবনটা আসলে শুকনো গদ্য
যেটা জল পড়ে পাতা নড়ের মতো
এত সরল নয় ।
বিভিন্ন মানুষ আর তাদের বিভিন্ন মানসিকতার
সাথে মিশতে মিশতে যে অভিজ্ঞতা হয়,
সেটা আসলে নিজেকেই প্রতিদিন আবিষ্কার করা
সেই নতুন না-পড়া বইটার মতোই ---
যতই পড়বে, ততই হারিয়ে যাবে,
শেষ পাতাটা কোনোদিন আর ওল্টাতে পারবেনা ।

                                    (১৩)
প্রেমের অনুভূতিটা কেমন যেন ফিকে হয়ে গেছে,
শারীরিক চাহিদারই এখন অহঙ্কার বেশী ।
খবরের কাগজ খুললেই দেখি পত্রমিতালির ভিড় ।
প্রেম এখন আর খোলা হাওয়ায় নয়
চার দেওয়ালে বন্দী থাকতেই বেশি ভালবাসে ।
এখন আর কেউ ফুলের গন্ধে নয়
কৃত্রিম নির্যাসের মোহেই পাগল হতে চায় ।
স্বভাবটা খুবই বিপজ্জনক ---
একবার চরিত্রের সাথে মিশে গেলে
কপালে অনেক দুঃখ আছে,
সংসারের জালে জব্দ হওয়ার পরে ।

                                    (১৪)
আরোপিত সম্পর্ক নুনছাড়া রান্নার মতোই বেস্বাদ ---
যেটা আগে চেখে দেখলেই বোঝা যেত,
শুধু  চোখে দেখার বোহিমিয়ানায়
এখন না পারছ গিলতে না পারছ ফেলতে ।
শুধু একটাই কথা বলার ছিল ---
এমন সম্পর্ক জুড়তে যাও কেন
যেটা শুরু থেকেই নিশ্চিত নও
শেষ পর্যন্ত টেকাতে পারবে কিনা !
ছেড়ে দাওনা যে যেমন আছে,
তোমার কি দরকার এমন নেশা ধরানোর
যে গন্ধে গন্ধে পাগল করে দেবে !
তুমি তো জানোই তোমার এই বাতিকগুলো মানসিক ;
তোমার নিজের সুখ অধরা বলে
অন্যের সুখ কেড়ে নেওয়ার নোংরা খেলাটায়
সাময়িক বিরতি দাও এবার ।
মন দিয়ে কেড়ে নেওয়াটা অবশ্যই অধিকার
যদিনা ঠান্ডা মাথায় খুন করাটা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে ।
এ খেলার শুরুটা হয়তো তুমি আঘাত পেয়ে করেছিলে,
কিন্তু এখন এটা চরিত্রের স্বভাব হয়ে গেছে ।

                                    (১৫)
শত্রুকে কচুকাটা করে নারকীয় হত্যার ষড়যন্ত্র
সমাজবিরোধীরাই করে,
এদের হাতে যদি ঝান্ডা দেখে থাকো
সেটা বিরোধীদের চক্রান্ত ।
পার্টি অফিসে দেখ বিদ্যাসাগর ঝোলে,
রবীন্দ্রনাথ দাঁড়িয়ে মুখে একগাল দাঁড়ি ।
আমরা কি কখনো সমাজবিরোধীদের
আশ্রয় দিতে পারি !
বন্ধের দিনে যারা ভাঙচুর করে ---
ওরা তো ভাড়াটে গুন্ডা,
যেই টাকা দেয় তাদের হয়েই
ময়দানে নেমে পড়ে ।
তাহলে মোটরবাইকে যারা মেয়েদের ওড়না ধরে টানে,
সন্ধ্যায় চুল্লু খেয়ে হাত ধরে মারে টান ---
তাদের সম্পর্কে আপনার ধারনা কি ?
ওটাতো আসলে ওদের হাতেখড়ি;
এরপরের ধাপ এলাকায় দাদাগিরি, তোলা আদায়,
প্রয়োজনে গোলাগুলি, আর সময় খারাপ গেলে
বড়লোকের ছেলেচুরি যাকে তোমরা অপহরণ বলো ।
দাদা আপনার অভিজ্ঞতার তো সীমা-পরিসীমা নেই,
আপনি নিজে আসলে কে ?
আমায় এতক্ষনেও চিনলেনা ভায়া !
আমি আপনার এলাকারই দায়বদ্ধ নেতা ---
সাতে নেই পাঁচে নেই, ধোয়া তুলসীপাতা ।

                         (১৬)
আজ আবার প্রেমে পড়েছি,
আজ আবার চোখে লেগেছে নেশা ---
আজ আবার নিজেকে বাধা দিয়ে যাই -
কি দরকার আবার কাছে ঘেঁষার !

প্রেমেরও একটা বয়ঃসীমা থাকে,
তারপরেও যদি প্রেমের জিগির ওঠে
তবে নিজেকেই তা থেকে সরিয়ে আনা উচিত,
নাহলে ভাবতে হবে নিজের চরিত্রের দোষ আছে ।

মন তো একটাই, সেটা এত ঠুনকো হবে কেন ?
আর এটা বয়ঃসন্ধি নয়, ম্যাচিওরিটি বলেও একটা বস্তু আছে
যেটা একটা বয়সের পরে নিজেরই আসা উচিত –
জীবনের অভিজ্ঞতা আশাকরি সেটাই শেখায় !

তাই ফিরে এলাম সেই ভালোলাগার নেশা থেকে,
এখন আমি অনেক বদলে গেছি ---
যারা দুদিন আগেও আমাকে অন্যভাবে চিনত
তারা চমকে যাবে এই নতুন আমিকে দেখে ।

                         (১৭)
যখন কেউ ছিলনা সাথে, তুমি ছিলে পাশে,
এক শূণ্যতা ঘেরা ছিল আমার চারপাশে ।
আজ ভিড় আছে, যদিও বন্ধু হাতে গোনা,
শান্ত বিকেলে অনুভব করি তোমার আনাগোনা ।
তোমার হাসি-কান্না, ফচকেমি সবই নীরব স্মৃতি,
চাইনি শেষটা এভাবে হোক, অযাচিত নিষ্কৃতি ।
তবুও একটা কবিতা রইল তোমার জন্য তোলা,
একটা জানালা আজও তোমারই জন্য খোলা ।

                        (১৮)
এখন আর কিছু বলার নেই তোমার
প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে
পেয়ে গেছো গল্প শোনানোর লোক,
কি দরকার আমার কোলে মাথা রাখার !
বোবা বালিশে নখের আঁচড় কেটে
তুলো ওড়ানোর দিন সেও গেছে ফুরিয়ে
এক কাজ করো না আর কেন ফেলে রেখেছো পিছুটান,
হাত নেড়ে একবার শেষবারের মতো
বিদায় জানিয়ে মুক্তি দাও এই
খেলা-অবহেলার যন্ত্রণা থেকে
তুমিও মুক্ত আর আমিও স্বাধীন

                        (১৯)   
মন খারাপের রাতে বৃথা তারা গোনার খেলা
আর ভালো লাগেনা
গাছের সবুজ পাতাও রাতে কালোই লাগে
আর ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশায় মিশে যায়
হাতের কালো ধোঁয়া মুখের টানে,
সে কেবল সেই জানে
যে হারিয়েছে বাঁচার ঠিকানা
ঢেকে দিয়ে যায় মেঘ একটা একটা তারা,
তবু গোনা শেষ হয়েও হয়না শেষ,
কেবল মিথ্যে প্রতিশ্রুতির দেশ
ভরসা এখন শুধু নিজের ওপরেই করা যায়।
আর সেই নিজের বিশ্বাসটাই যদি তলানিতে ঠেকে,
পড়ে থাকে শুধু একমুঠো ছাই, হাতে ধরে তাই
উড়িয়ে দিই মনের ময়লার সাথেই;
জানি তোমার কোনো যায়-আসেনা তাতে
ঘটনার ঘনঘটায় চাপা পড়ে যায় আমার আওয়াজ,
কেউ কান পেতে শোনার চেষ্টা করেও দেখেনা
না তুমি, না অন্য কোনো কেউ, ব্যস্ত সবাই আজ, ব্যস্ত তুমিও

                        (২০)
এমনও এক দিন যায়নি যেদিন তোর মুখ
আমার চোখের সামনে ভাসেনি,
তবুও তোর আশা করা ছেড়ে দিয়েছি আমি
তোর আমার স্বপ্ন সে আজ এক দুঃস্বপ্নের মতোই,
প্রতিটা সকাল বলে নতুন দিনের শুরু
পুরনো আঁকড়ে রেখে লাভ কি!
যতই ভাববো শুধু একরাশ হতাশা
কেড়ে নিতে চাইবে চোখের ঘুম
থাকনা পড়ে মনের ভেতর মনের ময়লাগুলো
আমায় স্নান না করিয়ে নিজে নাকের ডগায়
চন্দন ঘষে নিলেই তো পারিস!
আমাকে আর জঞ্জাল মনে হবেনা তখন
আর তুইও হয়ে থাকতে পারবি আদর্শ নারী

1 comment: